জান্নাতের বিবরণ

জান্নাত এক অতুলনীয় শান্তিনিকেতন। জান্নাত মুমিনদের সুখের বাসা। ইচ্ছাসুখের নীড়। চক্ষুশীতলকারী আনন্দালয়। চির স্বাচ্ছন্দ্যের প্রমোদোদ্যান। নয়ন-জুড়ানো তার মাটি। মন মাতানো তার সৌরভ। হৃদয়ভলানো তার সৌন্দর্য।

জান্নাতের বিলাস-সামগ্রী বর্ণনাতীত, কল্পনাতীত। দুনিয়ার কোন সামগ্রী তার উদাহরণ ও উপমা হতে পারে না। মানুষ যত উচ্চ মানেরই সুখ-সামগ্রী আবিষ্কার করুক না কেন, জান্নাতের সুখ-সামগ্রীর সাথে কোন তুলনাই হবে না। জান্নাতের আলো, সুগন্ধি, অট্টালিকা, নদী-নহর, বৃক্ষ-ফল, খাদ্যপানীয়, সুন্দরী স্ত্রী, লেবাস-পোশাক ইত্যাদি সবকিছুই নজীরবিহীন।

জান্নাতের বিবরণ দিতে গিয়ে মহানবী (সাঃ) বলেছেন, “(তার অট্টালিকার) একটি ইট সােনার, একটি ইট চাদির, তার মাঝে সংযোজক হল তীব্র সুগন্ধময় কস্তুরী। তার পাথর-কাঁকর হল মণি-মুক্তা। তার মাটি হল জাফরান। যে তাতে প্রবেশ করবে, সে সুখী হবে এবং কোন কষ্ট পাবে না। চিরস্থায়ী হবে, মৃত্যুবরণ করবে না। তার লেবাস-পোশাক পুরাতন হবে না। তার যৌবন নষ্ট হবে না।” (আহমাদ, তিরমিযী, দারেমী)

মহান আল্লাহ বলেছেন,

وَإِذَا رَأَيْتَ ثَمَّ رَأَيْتَ نَعِيمًا وَمُلْكًا كَبِيرًا

অর্থাৎ, তুমি দেখলে সেখানে দেখতে পাবে ভোগ-বিলাসের উপকরণ এবং বিশাল রাজ্য। (দাহরঃ ২০)

এ ছাড়া মহান আল্লাহ যা গুপ্ত রেখেছেন, তা মানুষের কল্পনার বাইরে।

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘আমি আমার পুণ্যবান বান্দাদের জন্য এমন জিনিস প্রস্তুত রেখেছি, যা কোন চক্ষ দর্শন করেনি, কোন কর্ণ শ্রবণ করেনি এবং যার সম্পর্কে কোন মানুষের মনে ধারণাও জন্মেনি। তোমরা চাইলে এ আয়াতটি পাঠ করতে পার; যার অর্থ, “কেউই জানে না তার জন্য তার কতকর্মের বিনিময় স্বরূপ নয়ন-প্রীতিকর কি পুরস্কার লুকিয়ে রাখা হয়েছে।” (সাজদাহঃ ১৭, বুখারী-মুসলিম)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top